অনলাইনে জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন এর নিয়ম
অনলাইনে জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন এর নিয়ম
আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ডের ভুল সংশোধন করার যদি প্রয়োজন হয় তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় আসছেন। এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন নিয়ম ।
NID কার্ডের ভুল সংশোধন করতে হলে আপনাকে প্রথমেই জাতীয় পরিচয় পত্র অনলাইন কপি সংগ্রহ করে নিবেন।
কিভাবে জাতীয় পরিচয় পত্র অনলাইন কপি সংগ্রহ করে নিবেন
ন্যাশনাল
আইডি কার্ডের অনলাইন কপি আপনি বিভিন্ন ভাবে সংগ্রহ করে নিতে পারেন। যদি
আপনার কাছে অরজিনাল NID থাকে তাহলে আপনার আর NID কার্ডের অনলাইন কপি এর
প্রয়োজন নেই। আমরা কিভাবে জাতীয় পরিচয় পত্র অনলাইন থিকে বের করবেন তা নিয়ে
একটা আর্টিকেল পাবলিশ করেছি। আপনারা চাইলে সেই আর্টিকেলটা পড়ে আসতে পারেন।
উপরের আর্টিকেলটা পড়ার পর আমি ধরে নিতে পারি আপনি জাতীয় পরিচয় পত্র অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন অথবা লগইন করে অনলাইন থেকে আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ড সংগ্রহ করেছেন।
কিভাবে ন্যাশনাল আইডি কার্ড সংশোধন করবেন
প্রথমে আপনি চলে যাবেন নির্বাচন কমিশনার এর ওয়েবসাইটে, আপনার চাইলে নিচের লিংক এর মাধ্যমে প্রবেশ করতে পারেন।
এখানে প্রবেশ করার পর , অনলাইনে ন্যাশনাল আইডি কার্ড ভুল ঠিক করার জন্য লগিন করতে হবে,
উপরের পিকচারে লগিন বাটন মার্ক করা আছে সেই মেনুতে আপনার ক্লিক করবেন। ক্লিক করার পর আপনার NID কার্ড এর লগিন পেজে চলে যাবেন।
লগিন পেজে যাওয়ার পর আপনারা নিচের পিকচারের মত লগিন করুন বাটনে ক্লিক করবেন।
এখানে প্রবেশ করার পরে আপনাকে নিয়ে যাবে অরজিনাল লগিন পেজে যেটা দেখতে নিচের পিকচার এর মত হবে।
এই
পেজে আসলে অবশ্যই আপনি একটা লগিন করার জন্য ইউজারনাম এবং পাসওয়ার্ড এর ঘর
পাবেন। আপনাকে আবারো বলছি এই ইউজারনাম এবং পাসওয়ার্ড যদি আপনার কাছে না
থাকে তাহলে
এই আর্টিকেলটা পড়ুন । অথবা আপনারা আরও সুন্দর করে বুঝতে চাইলে নিচের এই ভিডিওটা দেখুন,
তারপর আপনার ইউজারনাম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগিন করে নিবেন। লগিন করার পর আপনারা নিচের ছবির মত ওয়েবসাইটের ইন্টারফেস পাবেন।
এই
পেজ থিকে আপনারা প্রোফাইলে ক্লিক করবেন। উপরের স্ক্রিনশটে যেমন দেখতে
পারছেন প্রোফাইল একটা মেনু আছে। তো সেই মেনুতে ক্লিক করবেন। মজার ব্যাপার
হল ডাউনলোড লেখা যেই মেনুটা আছে, সেই মেনুতে ক্লিক করলে আপনাদের জাতীয়
পরিচয় পত্র অনলাইন কপি সংগ্রহ করতে পারবেন। এবং প্রোফাইল মেনুতে ক্লিক
দিলে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র ভুল সংশোধন করার অপশন গুলো পাবেন।
এখান
থেকে আপনারা এডিট অপশনে ক্লিক দিবেন। এডিট অপশনে ক্লিক দেওয়ার পরে, আপনার
সামনে একটা নোটিফিকেশন আসবে । সেখানে আপনি বহাল ক্লিক দিয়ে দিবেন। তারপর
আপনার সামনে নিচের এই পেজটা চলে আসবে।
এখানে
এসে আপনার যা যা পরিবর্তন করার প্রয়োজন আপনি পরিবর্তন করে নিবেন। যে
বিভাগে পরিবর্তন করবেন শুধু সেই অপশনে ক্লিক দিবেন। যেমন যদি নাম পরিবর্তন
করতে চান তাহলে শুধু নাম এর বক্সে টিক মার্ক দিবেন তাহলে নামের বক্স আপনার
জন্য এডিট অপশন চালু হবে। সবকিছু এডিট করার পর আপনারা পরবর্তী অপশনে ক্লিক
দিবেন।
পরবর্তী
অপশনে ক্লিক দেওয়ার পর আপনারা দেখতে পারবেন উপরের পিকচারের মত। উপরের
পিকচারে তিনটা পরিবর্তন হয়েছিল। এবং এর পাশে দেখতে পারবেন বর্তমানে কি আছে
এবং আপডেট করলে কি হবে ।উপরের পিকচারটি ভালো করে দেখুন তাহলেই বুঝতে
পারবেন।
আপনার কাজ হল ভালো করে চেক করা আসলে কি পরিবর্তন করলেন তা
ঠিক আছে কিনা। ভালো করে চেক করবেন কারণ NID কার্ড বার বার পরিবর্তন করার মত
জিনিষ না।
যদি কোন ভুল ইডিট করেছেন মনে হয় তাহলে পেছনে ক্লিক করে আবার ঠিক করে পরবর্তীতে ক্লিক করে আপনার কাজ করে নিবেন।
যায়হক এরপর পরবর্তীতে ক্লিক দিলে আপনারকে অন্য আরেকটি পেজে নিয়ে যাবে। যেটা দেখতে নিচের ছবির মত।
এখানে আবেদনের ধরণ দিবেন জাতীয় পরিচয়পত্র ও অন্যান্য তথ্য সংশোধন এবং বিতরনের ধরণ দিবেন Regular Smart Card যদি আপনি স্মার্ট কার্ড পেতে চান।
এরপর
পরবর্তীতে ক্লিক দিলেই আর যেতে পারবেন না। কারণ পরবর্তী ধাপে ক্লিক দিলে
টাকা জমা দিতে হবে। তো আপনারা পরবর্তীতে ধাপে ক্লিক দিলেই কত টাকা দেওয়া
লাগবে তা উঠবে। সাধারনত জাতীয় পরিচয় সংশোধন ফি ২৩০-৩৪৫ টাকার মধ্যে
পরিমানটা আসে। উপরের পিকচারে ভালো করে দেকুন আমাউন্ট টা দেওয়া আছে ৩৪৫
টাকা। আপনারাও পরবর্তীতে ক্লিক দিলে এমাউন্টটা উঠে যাবে।
এরপর আপনারা চাইলে এই টাকাটা রকেট এর মাধ্যমে পে করতে পারেন। রকেট পে করতে চাইলে রকেট এপস ওপেন করবেন।
তারপর bill pay তে ক্লিক করবেন।
এরপর biller id 1000 টাইপ করার পর আপনারা দেখতে পারবেন ECE Bangladesh চলে আসছে সেটা সিলেক্ট করবেন।
সিলেক্ট
করার পর উপরের ইমেজ এর মত বক্স গুলো দেখতে পারবেন। NID নাম্বার ঘরে আপনি
যে এনআইডি পরিবর্তন করতে চান সেই নাম্বার দিবেন। Pay for যদি নিজের জন্য
করতে চান তাহলে self দিবেন ।অন্যর জন্য করতে চাইলে other দিয়ে তার নাম্বার
দিয়ে দিবে। আর আপ্লিকেশন টাইপে
- যদি কার্ডের ইনফরমেশন(ব্যক্তিগত) পরিবর্তন করতে চান তাহলে ১ দিবেন
- যদি অন্যান্য ইনফরমেশন পরিবর্তন করতে চান তাহলে ২ দিবেন
- যদি দুইটায় করতে চান তাহলে ৩ দিবেন।
আমাদের ক্ষেত্রে তিন দেওয়ার প্রয়োজন হয়েছিল। এখন যে এমাউন্টা এসেছে সেটা লিখে সেন্ড করে দিবেন।
এখন নির্বাচন কমিশন ওয়েবসাইটে(আপনি যেখানে ইডিট করতে ছিলেন) সেই সাইটে যেয়ে দেখবেন পরিবর্তন হয়েছে কিনা।
দেখুন
উপরের পিকচারে টাকা জমা হয়েছে সেটা দেখাচ্ছে। এখন আপনি টাকা দাওয়ার পরেও
যদি এখানে টাকা না দেখায় , তাহলে অপেক্ষা করবেন। দুই -থেকে তিন দিন এর মধ্য
হয়তো আপডেট হয়ে যাবে।
তারপর পরবর্তীতে ক্লিক দিলে ডকুমেন্ট সাবমিট এর অপশন আসবে।
এখন
কথা হল আপনি এখানে কি ডকুমেন্ট সাবমিট করবেন। এখানে সাধারনত যা পরিবর্তন
করবেন তার সাপেক্ষে ডকুমেন্ট দিবেন। যেমন আপনি যদি রক্তের গ্রুপ দিতে চান
তাহলে মেডিকেল রিপোর্ট দিবেন। নাম পরিবর্তন করতে চাইলে জন্মনিবন্ধন কাগজ
দিবেন। তার মানে হল আপনি যেটাই পরিবর্তন করেন না কেন তার সাপেক্ষে একটি
ডকুমেন্ট দিবেন । যেই ডকুমেন্টে প্রমান করে আপনি সঠিক কারনেই পরিবর্তন করতে
চান।
এখানে ডকুমেন্ট png,jpg এবং pdf ফাইল আপলোড করা যাই। এবং খেয়াল রাখবে ডকুমেন্ট ফাইল এর সাইজ যেন ১এমবি এর কম থাকে।
এরপর পরবর্তীতে ক্লিক দিলে নিচের পেজ চলে আসবে ।এখানে সবকিছু চেক করে সাবমিট করে দিবেন।
যদি কোন কিছু ভুল থাকে তাহলে পিছনে যেয়ে ইডিট করে আবার সাবমিট করবেন। এটাই হল অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন এর নিয়ম
এখন আপনি একটি জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন ফরম ডাউনলোড পারবেন। এজন্য আপনাকে প্রথম দিকে যেভাবে লগিন করেছিলেন সেভাবে আবার লগিন করবেন নির্বাচন অফিস সার্ভারে।
এরপর
উপরের পেজের মত দেখতে পারবেন । সেখানে ডাউনলোডে ক্লিক দিবেন
তাহলে ন্যাশনাল আইডি কার্ড সংশোধন ফরম ডাউনলোড হয়ে যাবে। এটা আপনাদের
সংগ্রহে রাখবেন। যখন NID কার্ড আনতে যাবেন। তখন কাজে লাগতে পারে।
এই কাজটি সম্পূর্ণ হতে অনেক সময় লাগে ২মাস থেকে ১ বছর এর মতও লাগে। তাই ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করবেন পরিবর্তন এর জন্য।
কোন মন্তব্য নেই